রাঙামাটি প্রতিনিধি: অনেক জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এই প্রথম রাঙামাটি হতে ও দলীয়ভাবে মনোনীত হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদের সফল চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
তৎকালিন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান ও নান্দনিক ভবন তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দবানে ভুমিকা রাখেন। বর্তমানে রাঙামাটিতে নয়নাভিরাম অফিস ভবনটি তিন জেলার সেরা ও জনপ্রিয় ।
পাহাড়ে পার্বত্যঞ্চলে তৃণমুল ও দুর্গম এলাকার অবহেলিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্য্যলয় রাঙামাটি হলেও এই যাবত দলীয়ভাবে এখান থেকে কেউ দায়িত্ব পাইনি আমলা দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে।
এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর কয়েকদশক ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চট্টগ্রাম অঞ্চলের জিওসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। জোটসরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির শাসন আমলে ২০০১ সালে খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ ভুইয়া দলীয়ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয় । বিএনপির খাগড়াছড়ি এমপি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ার পর এই ভবনের নিমার্ণ শুরু করেন ।
আওয়ামীলীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর বান্দরবারন থেকে নির্বাচিত সাংসদ বীর বাহাদুর চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে বীর বাহাদুর পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে সাবেক পার্বত্য সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরাকে মনোনীত করা হয়। সাবেক এই সচিব দুই মেয়াদে দশ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা পৈতিৃক বাড়ী খাগড়াছড়ি হলেও চেয়ারম্যান হিসাবে মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালে ১৮ মার্চ। দীর্ঘদিন আমলা নিয়োগ দিয়ে উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত হয়ে আসলেও গত তিনমাস ধরে পদটি শুন্য থাকায় ভাইসচেয়ারম্যানরা ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ভাইসচেয়ারম্যান আশিষ কুমার বড়–য়া (যুগ্ন সচিব) ভারপ্রাপ্ত হিসাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছে । এমনিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডেও কর্মকর্তা সংকটে রয়েছে । একেক কর্মকর্তা ২/৩টি পদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।এই বিষয়ে মনোনীত চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সাথে প্রতিবেদক মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ঢাকা থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য খাগড়াছড়ি সাংসদ বাসন্তী চাকমা,সাবেক পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদক্ত চাকমা